Official PayPal Seal

Wednesday, January 22, 2014

Courtesy: Blogger ছায়ামানব
যারা যারা আমার আগের লেখাটা মিস করছেন, তারা প্রথম পর্ব দেখে নিতে পারেন. আমি ভেবেছিলাম যে ওই পর্বটা দরকার পরবে, কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম, ত্যামন একটা গুরুত্বপূর্ণ না. যাই হোক, কথামতন, দিলাম দ্বিতীয় পর্ব.
প্রথমেই বলি সবথেকে সস্তা সিস্টেমএ ছবি তোলার একটা ট্রিকস. এক বিশেষ ধরনের ফটোগ্রাফি আছে যারে বলে কি না প্যানোরামিক ফটোগ্রাফি. এইটা একটা বিশেষ ভাবে ছবি তোলা যাতে করে আপনার বাম পাশ থেকে শুরু করে ডান পর্যন্ত পুরো দৃশ্যকেই একটা ছবির ভেতরে তোলা. এখনকার অনেক ক্যামেরাতে এটা এমনিতেই দেয়া থাকে বিল্টইন. আর আপনার একটা রেগুলার কম্প্যাক্ট পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরা থাকলেও হবে.


 এখানে ছবিতে দেখেন, আমার বাম পাশে যে ছায়া, আর আমার ডান পাশে, দুইটা ছায়া একই বিল্ডিংএর থেকে, যেটা আমার ঠিক পিছনেই ছিল.
এইটা তুলতে আপনের তিনটা জিনিস লাগবে.
. একটা ক্যামেরা. (যে কোনো ক্যামেরা)
. একটা সফটওয়্যার নাম প্যানোরামা মেকার.
. একটা ট্রাইপড. (যদি না থাকে, কোনো সমস্যা নেই, থাকলে একটু সুবিধে হয়, এর আর কি.)
প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে মেক শিওর করেন যাতে আপনি যেখানকার ছবি তুলবেন, সেখানে যেন কোনো কিছু না থাকে যা কিনা নড়ে. চলন্ত কিছু, যেমন গাড়ি, মানুষ, পশুপাখি থাকলে সেটা নিয়ে কাজ করা হবে ভয়ংকর কঠিন.
এই কারণেই যত প্যানোরামা দেখবেন, তার বেশির ভাগই ন্যাচারাল ল্যান্ডস্কেপ এর ফটো.
যাই হোক, যখন আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী জায়গা পাবেন, বাম থেকে ডানে ছবি তোলা শুরু করেন. একটা জিনিস খেয়াল করবেন আর সেটা হচ্ছে যেন আপনার ছবি তোলার সময়ে যখন বা থেকে ডানে যাচ্ছেন, আপনার ক্যালেরার লেভেল যেন মোটামুটি সমান থাকে. আর এই কারণেই একটা ট্রাইপড থাকলে সেটার উপরে রেখে কাজ করতে সুবিধে. যদি না থাকে, তাহলে আপনি আপনার নিজের বেস্ট জাজমেন্ট ব্যবহার করুন.
আর আরো একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, সেটা হচ্ছে প্রথম যে ছবিটা তুলবেন, সেটার একদম ডানএ যা থাকবে, আপনার পরের ছবি যেন মোটামুটি সেখান থেকেই শুরু হয়. আমি সাধারণত -৫টা তুলি. এটা নির্ভর করে আপনার ক্যামেরা কতখানি কভার করতে পারে তার উপরে.
যাই হোক, ছবি গুলো তোলা শেষ হলে, সেগুলো আপনার পিসিতে ডাউনলোড করে আপনার সুবিধে মতন একটা ফোল্ডারে সেভ করুন.
এরপরে প্যানোরামা মেকার সফটওয়্যারটা ওপেন করুন. এটা ওপেন হবার পরে বাম দিকে দেখবেন ফোল্ডার ডিরেক্টরি আছে. ঐখান থেকে আপনি যেখানে আপনার ফটোগুলো সেভ করা আছে, ঐটা খুঁজে বের করুন. যখনি আপনি আপনার কাঙ্খিত ফোল্ডারএ ক্লিক করবেন, সাথে সাথে দেখবেন এই সফটওয়্যারটার ডানদিকে ওই ফোল্ডারের যাবতীয় ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে. এখানে থেকে যেটা যেটা চান, সিলেক্ট করুন. কন্ট্রোল কী চেপে ধরে যেটা যেটা চান, সিঙ্গল ক্লিক করুন, যে কয়টা চান, সব সিলেক্টেড হবে. এরপরে এই অবস্থায় নেক্সট চাপুন. এরপরে নিজে নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন সব. এটা খুবই সহজ একটা সফটওয়্যার. বেসিকলি এটা আপনার ছবিগুলো নিয়ে সেগুলোকে সেলাই করে একটা সিঙ্গল ছবি বানিয়ে দ্যায়. শেষ হলে, আপনি যত দক্ষভাবে মাঝে কোনো বাদ না দিয়ে, ক্যামেরা খুব বেশি উচু নিচু না করে ছবি তুলতে পারবেন, আপনার ছবির কোয়ালিটি তত ভালো হবে. যাই হোক, সেলাই শেষ হলে এটা আপনাকে আপনার ছবির ফাইনাল রূপ দেখাবে আর আপনার ছবির চারপাশে একটা আউটলাইনের মতন একটা বক্সএর ভেতরে দেখাবে. আপনার খুশি মতন সেটাকে উপরে নিচে, ডানে বায়ে করতে পারবেন. আপনার পছন্দ মতন যখন হবে, সিম্পলি ছবি সেভ করুন. ভয়লা!!!!!!!!
এইবারে আসি পুরান জিনিসের কেনার ব্যাপারে. অনেক মানুষ আছে যারা নুতন ছাড়া চলতে পারে না. তাগো লাইগা চাই একদম লেটেস্ট মডেলের সবকিছু. তারা তখন সাধারণত পুরানটা ফালায়া দ্যায় বা বেইচা দ্যায়. আবার অনেকে আছে আপগ্রেড করে আর করতে গিয়া টের পায় যে পুরান জিনিস কম্পাটিবল না, তখন পুরানটা বেইচা দ্যায়. ঘটনা যাই হোক, পুরান জিনিস মার্কেটে প্রায়ই পাওয়া যায়. আমাদের এইখানে একটা কথা আছে, "ওপেন বক্স আইটেম." মানে হইলো যে ব্যাপারটা এমন যে যখন কেউ কিছু ব্র্যান্ড নিউ কিনে, তখন সেইটা থাকে একটা প্যাকেটের ভিতরে, যেইটা কিনা অরিজিনালি কোম্পানি নিজেই প্যাক কইরা দ্যায়. কিন্তু সবাই সেইটা রাখে না, নানান কারণে সেইটা আবার ফেরত দ্যায় দোকানে. তখন দোকানদার সেইটা চেক করে, খেয়াল রাখে যেন জিনিষটা পুরান হইলেও যেন অন্তত এখনো কাজ করে. তারপরে ঐটার গায়ে সীল মাইরা দ্যায় যে এইটা ব্র্যান্ড নিউ না, আর একটু কম দামে বেইচা দ্যায়. আমার প্রথম ল্যাপটপটা কিনছিলাম ২০০৩ সালে এই সিস্টেমে. রেগুলার ব্র্যান্ড নিউ ছিল ১০০০ টাকার উপরে আর আমি সেকেন্ড হ্যান্ড কিনায় পাইছি ৬৯০ টাকায়. সেই ল্যাপটপ আমার চলছে একদম ঠিকঠাক মতন ২০০৮ পর্যন্ত. এই একই থিওরি খাটে আমাদের আলোচ্য বিষয়তেও. লেন্স, ক্যামেরা বডি, আরো অন্যান্য যা যা আছে, সব কিছুই কিনা সম্ভব সেকন্ড হ্যান্ড. তবে একটা কথা. যদি আপনার তেমন কোনো আইডিয়া না থাকে এইসব ব্যাপারে, তাইলে ভালো হয় যদি সাথে কইরা অভিজ্ঞ কাউরে নিয়া যাইতে পারেন যদি. তাইলে থকার সম্ভাবনা অনেক কম. এই সিস্টেমে আমি একটা লেন্স কিনছিলাম যেইখানে আমার আসল দাম ৩০০ টাকার বদলে দিছি ১৮০ টাকা.
এইবারে আসি নন-ব্র্যান্ড জিনিসে. নাইকন, ক্যানন, দুইজনেই দুনিয়া বিখ্যাত আর ক্যামেরার জগতে মোটামুটি অপ্রতিদন্দ্বী. আরো আছে পেনট্যাক্স, সনি, ফুজি আরো কি কি জানি, কিন্তু ওই দুইজনেই মূল দুই রথী-মহারথী. এবং তারা তা খুব ভালো করেই জানে. আর এই কারণেই তারা তাদের প্রডাক্টের দাম রাখে তাদের মন মতন. তাদের মেইন প্রডাক্ট, ক্যামেরা বডিতে খুব বেশি প্রতিদ্বন্দী নাই একে অপরকে ছাড়া. কিন্তু তাই বলে এই না যে তাদের অন্যান্য প্রডাক্টএর বেলাতেও তা খাটে. কিন্তু অনেকেই সেটা জানে না. দুইটা বহুল প্রচলিত কোম্পানি আছে, টোকিনা আর সিগমা. এরা দুইজনেই নির্ভরযোগ্য অনেক প্রডাক্ট বানায় যা কিনা নাইকন আর ক্যানন, দুইজনের সাথেই কম্পাটিবল. এতে লাভ? যেহেতু তারা ওই দুই কোম্পানির মতন বিশাল না, তাই তাদের প্রডাক্টএর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম. আমার ম্যাক্রো লেন্স কিনছি আমি টোকিনা ব্র্যান্ডের, সেকেন্ড হ্যান্ড, ১০০ মিমি. যেখানে নাইকনের ব্র্যান্ড নিউ ম্যাক্রো লেন্স, ১০৫ মিমি প্রায় ১০০০ টাকা, সেখানে আমি পে করছি ৩৪০ টাকা. আর টোকিনার ব্র্যান্ড নিউ এই একই লেন্স এর দাম প্রায় ৫০০ টাকা. কিনছি সে প্রায় এক বছরের মতন. এখনো কাজ করে ফাটাফাটি.

এবার আসি আরো সস্তা উপায়ে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির বেলায়. নাইকনের ম্যাক্রো লেন্সএর দাম আগেই বলছি যে প্রায় ১০০০ টাকা. কিন্তু একটা ট্রিক আছে যেখানে আপনার লাগবে মাত্র ১৫-২০ টাকা. সেটা হচ্ছে এক ধরনের রিং কিনতে পাওয়া যায় নাইকন আর ক্যাননের জন্যে, সেটারে বলে রিভার্স রিং.
এই হইতেছে সেই ম্যাক্রো রিভার্স রিং. আমার এইটার পিছনে গেছে মাত্র ১৭ টাকা. এটা দিয়ে যে কোনো লেন্সরে ম্যাক্রো বানানো যায়. কোয়ালিটি খুব একটা ভালো না, কিন্তু টাকা শুরুতেই এক গাদা খরচ করার চেয়ে এইটা দিয়া হাত পাকানো অনেক বেশি লাভজনক
শুরুতেই এক গাদা খরচ করার চেয়ে এইটা দিয়া হাত পাকানো অনেক বেশি লাভজনক.
টিপিকালি এইরকমই লাগে একটা এসএলআর দেখতে.













এইবার লেন্সটা খুলেন ক্যামেরার বডি থিকা. (উই যে চিপার মধ্যে যে এক কোনা আয়নার মতন দেখতে লাগতাছে, ঐটাই হইলো শাটার)
এইবার লেন্সটার যেদিকে মুখ, সেদিকে এই রিংটা প্যাচায়া লাগান. এইবার যেইদিকে লেন্সটা লাগাইলেন, সেইদিক, মানে উল্টাদিক দিয়া লেন্সটারে ক্যামেরার সাথে লাগান.
এইবার দেখাবে এইরকম.
এইবার ছবি তোলা শুরু করেন 
ওই রিং ব্যবহার কইরা তোলা.
এইটা যদিও খুবই সস্তা সিস্টেম, কিন্তু খুব ঝক্কি পোহান লাগে. পয়লা কথা, প্রচুর আলো লাগবে. কারণ শাটার স্পিড খুবই এলোমেলো. আর ডেপ্ত অফ ফিল্ড বদলানোর কোনো উপায় নাই. কোনভাবেই সম্ভব না. যাও বা একটা উপায় আছে, সেইটা বেশ কম্পলিকেটেড. ডেপ্ত অফ ফিল্ড বাই ডিফল্ট থাকে খুব হাই, তাও চেঞ্জ করার উপায় নাই. যদি শাটার স্পিড আর ডেপ্ত অফ ফিল্ডটা বুঝেন, তাইলে দেখবেন যে এইটা বেশ ঝামেলার একটা কাজ. দিনের বেলায় প্রখর সুর্যের আলোয় কাজ করা ছাড়া উপায় নাই.
তবে সস্তা বইলা কথা.
আরেক সিস্টেম আছে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করার সেইটা হইলো এক্সটেনশন টিউব কেনা. আপনার ক্যামেরার যেইখানে ফোকাল পয়েন্ট, সেইটা থেকে যদি আপনি আপনার লেন্সরে দুরে নিতে পারেন, তাইলেই আপনের ক্যামেরা অটোমেটিক ম্যাক্রো মোডএ যাইবো গিয়া. আর এই এক্সটেনশন টিউব আপনেরে সেই সুযোগটাই কইরা দ্যায়. বেসিকলি এইটা হইলো একটা ফাপা টিউব, যেইটা কিনা আপনের যে কোনো রেগুলার লেন্স আর ক্যামেরার মাঝখানে ফিট করে অনেকটা সেতুবন্ধন হিসেবে. ছবি কোয়ালিটি বেশ ভালো. সত্যি বলতে কি, একান্ত দরকার না হইলে এইটা দিয়া বেশ ভালো কাজ চালানো যায়. আমি অনেকদিন এইটাই ব্যবহার করছি. দাম? ৫০-৬০ টাকা.
তবে এইটা কিন্তু শুধুই একটা পাইপ. তাই ওই যে ফুটো দেখতেছেন, ঐটা শুধুই একটা ফুটো. এটাকে এপারচারএর সাথে আবার মিলিয়ে ফেলেন না কিন্তু.
যদি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে যান, তাইলে যে কাউরে জিগান, কইবো যে রেগুলার বিল্ট ইন যে ফ্ল্যাশ, তাতে কাম হয় না. আবার যদি কিনেন এক্সটার্নাল ফ্ল্যাশ, তাতেও কম হয় না. এই বিশেষ ধরনের ফটোগ্রাফির জন্যে লাগে আলাদা ধরনের ফ্ল্যাশ. এরে বলে রিং ফ্ল্যাশ. এইখানে তিনটা বুদ্ধি খাটাইতে পারেন.
. রেগুলার রিং ফ্ল্যাশ কিনতে পারেন. ৪০০-৫০০ টাকা লাগবে.
. এলইডি রিং লাইট কিনতে পারেন. মোটামুটি সস্তা. মাত্র ৪০-৫০ টাকা. কিন্তু যেহেতু এইটা একটা লাইট, তাই এইটা তেমন একটা কাজের কিছু না.
. রিং ফ্ল্যাশ এডাপ্টর কিনতে পারেন. এইটা অর্থনৈতিকভাবে সবথেকে ভালো আইডিয়া. দাম মাত্র ৫০ টাকার মতন. কিন্তু কাজ দ্যায় খুব ভালো. তবে হ্যা, এইটা কাজ করতে তখনি, যদি আপনের অলরেডি একটা এক্সটার্নাল ফ্ল্যাশ থাকে. রিং লাইটএর বেলায় কিছুই লাগে না, কিন্তু এই জিনিসের বেলায় লাগবে. এইটাও ওই রিং ফ্ল্যাশএর মতই কাজ করে প্রায় আর পারফরমেন্স ফাটাফাটি. আমার এইটাই আছে.
আর ফ্ল্যাশের কথা যখন বলতেছিই, তখন আরো একটা কথা বলি. রেগুলার ব্র্যান্ড ফ্ল্যাশএর দাম আকাশ ছোয়া. আর এদের পারফরমেন্স অনেক হাই কোয়ালিটি. আর এদের হরেক রকমের অপশন থাকে. কিন্তু আমার মতন পাবলিকদের জন্যে এইগুলা শুরুতেই না. আর আমি দেখলাম তুলনা করে. নাইকনের SB 910 মডেলের দাম প্রায় প্রায় ৫৫০ টাকা. কিনতে গিয়া দাম শুইনা তো আমার মাথায় হাত. পরে অনেক খুইজা পাইতা পাইছি এই জিনিস.
Yongnuo মডেল. দাম? ব্র্যান্ড নিউ- ১০০ টাকা. একদম সিম্পল আর জটিল পারফরমেন্স.
এইবার আসি ক্যামেরার রিমোট ট্রিগারএর বেলায়. অনেক সময়ই ক্যামেরাতে ছবি তোলার সময়ে যে চাপ দিতে হয়, তাতে ক্যামেরা নড়ে যায়, আর ছবি আসে ঘোলা. বিশেষ করে যখন ক্যামেরা ট্রাইপডএর উপরে সেট থাকে, তখন এটা বেশি হয়. এটা এড়াবার জন্যে একটা সিস্টেম আছে. একটা তারএর মতন কিনতে পাওয়া যায় যার নাম কেবল রিলিজ. এইটা অনেকটা একটা তার এর মতন, যার এক মাথা থাকবে আপনার হাতে আর অন্য মাথা থাকবে ক্যামেরার সাথে লাগানো. আপনার যখনই দরকার হবে, ক্যামেরাতে একটুও হাত না লাগিয়েই ছবি তুলতে পারবেন. কিন্তু দাম? ঠিকই ধরছেন. অনেক. প্রায় ২০-৩০ টাকার মতন. আর আরেকটা উপায় আছে, আর তা হইতেছে রিমোট কিনতে পাওয়া যায়. আপনার ক্যামেরার সাথে শুরুতে একবার সেট কইরা নিলেই হবে. একবার দেখলেই আর দেখা লাগে না, মুখস্ত হয়ে যায়. দাম? - টাকা.
দুইটার মধ্যে পার্থক্য, দাম বাদে? ওয়েল, কেবল রিলিজ দিয়ে ক্যামেরার ডান, বাম, সামনে, পেছনে যে কোনো জায়গা থেকেই ছবি তোলার জন্যে ব্যবহার করা যায়. কিন্তু তার যত লম্বা, আপনার দুর ওই পর্যন্তই. আর রিমোট দিয়ে আপনি সামনেই শুধু থাকতে হবে, অন্য কোনো পাশে কাজ করে না. ঠিক টিভি রিমোটএর মতন. কিন্তু আবার রেঞ্জ অনেক বেশি. ক্যামেরার প্রায় ২০-৩০ ফুট দূর থেকেও কাজ করে এটা.
এইবার আসি এমন একটা সিস্টেম যেটা বাংলাদেশ মনে হয় না খুব একটা রিয়েলিস্টিক. সেটা হচ্ছে ইবে থেকে নিলামে কেনা. এইটার জন্যে আরো অনেক কিছু লাগে. যেমন নিলামে জিততে হবে. আমাকে ট্রাই মারতে হইছে প্রায় ১৫ বার. প্রতিবারই অন্য কেউ আরো বেশি দাম দিয়া নিয়া গেছে. কিন্তু শেষমেষ আমি জিতছি. আমার সব থেকে শখের লেন্স কিনছি আমি এই সিস্টেমে. নাইকনের ৮০-৪০০ মিমি লেন্স এর দাম প্রায় ১৫০০ টাকা. আর সিগমার ১৫০-৫০০ মিমি এর দাম ব্র্যান্ড নিউ, ৯৭০ টাকা. আর আমি নিলামে সেকেন্ড হ্যান্ড সিগমা ১৫০-৫০০ মিমি জিতছি কত দিয়া? ৩৯০ টাকা দিয়া. আমার সব থিকা বড়, আর সব থিকা শখের লেন্স এইটা.
ফাটাফাটি পারফরমেন্স, খুবই ভারী কিন্তু একদম পারফেক্ট আমার লাইগা.
এইবার নগরের সবার লাইগা, স্বাপ্নিক ভাই বাদে, একটা ফটো কুইজ. দেখি কে কে মনোযোগ দিছে ক্লাসএ.


0 comments:

Post a Comment

 

Copyright 2010 Online School 24.

Theme by WordpressCenter.com.
Blogger Template by Beta Templates.