এখানে যারা প্রাণ
দিয়েছে
রমনার ঊর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূড়ার নিচে
যেখানে আগুনের ফুলকির মতো
এখানে -ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের আলপনা,
সেখানে আমি কাঁদতে আসানি ।
আজ আমি শোকে বিহবল নই,
আজ আমি ক্রোধে উন্মত্ত নই
আজ আমি রক্তের গৌরবে অভিষিক্ত ।
যে শিশু আর কোনদিন তার পিতার কোলো ঝাপিয়ে পড়ার
সুযোগ পাবে না,
যে গৃহবধু আর কোনদিন তার
স্বামীর প্রতীক্ষায় আঁচলে প্রদীপ
ঢেকে দুয়ারে আর দাঁড়িয়ে থাকবে না,
যে জননী খোকা এসেছে বলে
উদ্দাম আনন্দে সন্তানকে আর
বুকে জড়িয়ে ধরতে পারবে না,
যে তরুণ মাটির কোলে লুটিয়ে
পড়ার আগে বারবার একটি
প্রিয়তমার ছবি চোখে আনতে
চেষ্টা করেছিল,
সে অসংখ্য ভাইবোনদের নামে
আমার হাজার ভাইবোনদের নামে
আমার হাজার বছরের ঐতিয্যে লালিত
যে ভাষায় আমি মাকে সম্বোধনে অভ্যস্ত
সেই ভাষা ও স্বদেশের নামে
এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে
আমি তাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
যারা আমার অসংখ্য ভাইবোনকে
র্নিবিচারে হত্যা করেছে ।
ওরা চল্লিশ জন কিম্বা আরো বেশি
যারা প্রাণ দিয়ে ওখানে রমনার রৌদ্রদগ্ধ
কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায়
ভাষার জন্য মাতৃভাষার জন্য বাংলার জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
একটি দেশের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য
আলাওলের ঐতিহ্য
রবীন্দ্রনাথ , কায়কোবাদ, নজরুলের
সাহিত্য ও কবিতার জন্য ।
যারা প্রাণ দিয়েছ
ভাটিয়ালি , বাউল, র্কীতন, গজল
নজরুলের "খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি"
এই দুইটি লাইনের জন্য ।
রমনার মাঠের সেই মাটিতে
কৃষ্ণচূড়ার অসংখ্য পাপড়ির মতো
চল্লিশটি তাজা প্রাণ আর
অঙ্কুরিত বীজের খোসার মধ্যে
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের প্রতিটি রক্তকণা
রমনার সবুজ ঘাসের উপর
আগুনের মতো জ্বলছে, জ্বলছে আর জ্বলছে
এক একটি হীরের টুকরার মতো
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছেরে চল্লিশটি রত্ন
বেঁচে থাকলে যারা হতো
..........................................
...............................................
..............................................
.........................................................
সেই দিন আমাদের দেশের জনতা
খুনি জালিমকে ফাঁসির কাষ্ঠে
ঝুলাবেই ঝুলাবে
তোমাদের আশা অগ্নিশিখার মতো জ্বলবে
প্রতিশোধ এবং বিজয়ের আনন্দে ।
রচয়িতা- মাহবুব উল আলম চৌধুরী
রমনার ঊর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূড়ার নিচে
যেখানে আগুনের ফুলকির মতো
এখানে -ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের আলপনা,
সেখানে আমি কাঁদতে আসানি ।
আজ আমি শোকে বিহবল নই,
আজ আমি ক্রোধে উন্মত্ত নই
আজ আমি রক্তের গৌরবে অভিষিক্ত ।
যে শিশু আর কোনদিন তার পিতার কোলো ঝাপিয়ে পড়ার
সুযোগ পাবে না,
যে গৃহবধু আর কোনদিন তার
স্বামীর প্রতীক্ষায় আঁচলে প্রদীপ
ঢেকে দুয়ারে আর দাঁড়িয়ে থাকবে না,
যে জননী খোকা এসেছে বলে
উদ্দাম আনন্দে সন্তানকে আর
বুকে জড়িয়ে ধরতে পারবে না,
যে তরুণ মাটির কোলে লুটিয়ে
পড়ার আগে বারবার একটি
প্রিয়তমার ছবি চোখে আনতে
চেষ্টা করেছিল,
সে অসংখ্য ভাইবোনদের নামে
আমার হাজার ভাইবোনদের নামে
আমার হাজার বছরের ঐতিয্যে লালিত
যে ভাষায় আমি মাকে সম্বোধনে অভ্যস্ত
সেই ভাষা ও স্বদেশের নামে
এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে
আমি তাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
যারা আমার অসংখ্য ভাইবোনকে
র্নিবিচারে হত্যা করেছে ।
ওরা চল্লিশ জন কিম্বা আরো বেশি
যারা প্রাণ দিয়ে ওখানে রমনার রৌদ্রদগ্ধ
কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায়
ভাষার জন্য মাতৃভাষার জন্য বাংলার জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
একটি দেশের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য
আলাওলের ঐতিহ্য
রবীন্দ্রনাথ , কায়কোবাদ, নজরুলের
সাহিত্য ও কবিতার জন্য ।
যারা প্রাণ দিয়েছ
ভাটিয়ালি , বাউল, র্কীতন, গজল
নজরুলের "খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি"
এই দুইটি লাইনের জন্য ।
রমনার মাঠের সেই মাটিতে
কৃষ্ণচূড়ার অসংখ্য পাপড়ির মতো
চল্লিশটি তাজা প্রাণ আর
অঙ্কুরিত বীজের খোসার মধ্যে
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের প্রতিটি রক্তকণা
রমনার সবুজ ঘাসের উপর
আগুনের মতো জ্বলছে, জ্বলছে আর জ্বলছে
এক একটি হীরের টুকরার মতো
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছেরে চল্লিশটি রত্ন
বেঁচে থাকলে যারা হতো
..........................................
...............................................
..............................................
.........................................................
সেই দিন আমাদের দেশের জনতা
খুনি জালিমকে ফাঁসির কাষ্ঠে
ঝুলাবেই ঝুলাবে
তোমাদের আশা অগ্নিশিখার মতো জ্বলবে
প্রতিশোধ এবং বিজয়ের আনন্দে ।
রচয়িতা- মাহবুব উল আলম চৌধুরী
0 comments:
Post a Comment